১. মানুষের দেহমনের সকল প্রকার ক্রিয়ার মধ্যে ক্রীড়া শ্রেষ্ঠ, কেননা, তা উদ্দেশ্যহীন। মানুষ যখন খেলা করে, তখন সে এক আনন্দ ব্যতীত অপর কোনো ফলের আকাক্সক্ষা রাখে না। যে খেলার ভিতর আনন্দ নেই, কিন্তু উপরি পাওনার আশা আছে, তার নাম খেলা নয়, জুয়াখেলা। ও ব্যাপার সাহিত্যে চলে না।
ক. ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার লেখক কে?
গ. ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনায় বর্ণিত সাহিত্য ও উদ্দীপকের উল্লিখিত ক্রীড়ার মধ্যে কোথায় পার্থক্য লক্ষ করা যায়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘অমিল থাকলেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাহিত্য ও ক্রীড়ার মাঝে তাৎপর্যপূর্ণ মিলও রয়েছে’-এ বিষয়ে তোমার মতামত তুলে ধরো।
ক. ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার লেখক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
খ. সাহিত্য রচনার প্রকৃত উদ্দেশ্য মানবকল্যাণ ও সৌন্দর্য সৃষ্টি সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রবন্ধকার প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন।
সাহিত্য রচনার উদ্দেশ্য অত্যন্ত মহৎ। সাহিত্য রচনার ক্ষেত্রে লেখকের কেবল সৌন্দর্য সৃষ্টি অথবা মানবমঙ্গলের কথাই বিবেচনায় রাখা । মূলত এ দুটিই জীবনের প্রকৃত সত্য। ধর্মের মর্মমূলেও রয়েছে এ দুয়ের উপস্থিতি। সাহিত্যের উদ্দেশ্য এ কারণেই সত্য ও ধর্ম ব্যতীত অন্য কিছু নয়।
গ. উদ্দীপকে ক্রীড়াকে উদ্দেশ্যহীন বলা হলেও আলোচ্য প্রবন্ধে সাহিত্যের বিভিন্ন উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে, যা উদ্দীপকের ক্রীড়া ও আলোচ্য প্রবন্ধের সাহিত্যের মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করে।
‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’রচনায় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সাহিত্যের উদ্দেশ্য সম্পর্কে নবীন লেখকদের মূল্যবান পরামর্শ প্রদান করেছেন। ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় উদ্দেশ্য নিয়েই সাহিত্য রচনা করা যায়। লেখকের মতে, সাহিত্যের প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো সৌন্দর্য সৃষ্টি ও মানবকল্যাণ। এছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্য যেমন ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধার বা মানবপীড়নের জন্য সাহিত্য রচনাকে তিনি ‘মহাপাপ’ হিসেবে গণ্য করেছেন।
উদ্দীপকে মানুষের দেহমনের সকল ক্রিয়ার মধ্যে ক্রীড়াকে শ্রে’বলা হয়েছে। কেননা, এটি উদ্দেশ্যহীন। মানুষ নিছক আনন্দ লাভের জন্যই খেলাধুলা করে থাকে, অন্য কিছু পাবার আশায় নয়। সাধারণ ক্রীড়া উদ্দেশ্যহীন হলেও সাহিত্য তা নয়। এর সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য রয়েছে। এখানেই ক্রীড়ার সাথে সাহিত্যের পার্থক্য লক্ষ করা যায়।
ঘ. অর্থের সংশ্লিষ্টতায় ক্রীড়া ও সাহিত্য উভয়েরই কলুষিত হওয়ার সুযোগ থাকে, যা উদ্দীপকের ক্রীড়া ও প্রবন্ধের সাহিত্যের মিল নির্দেশ করে।
‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ প্রবন্ধে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সাহিত্য রচনার ক্ষেত্রে নবীন লেখকদের আর্থিক লাভের। করতে বারণ করেছেন। তাঁর মতে, অর্থের জন্য লিখলে লেখায় লোকরঞ্জন-প্রবৃত্তি প্রবল ওঠে। আমাদের দেশের সাধারণ পাঠকের পশ্চাৎপদ মননশীলতার বিচারে লেখায় লোকরঞ্জন করতে গেলে রচনা বিকৃত ও অনিষ্টকর হয়ে পড়ে।
উদ্দীপকে খেলাধুলার মাধ্যমে আনন্দপ্রাপ্তির কথা বলা হয়েছে। লোকে সচরাচর অর্থ বা ব্যক্তিগত স্বার্থে নয় বরং নির্মল আনন্দ লাভের উদ্দেশ্যেই খেলাধুলা করে থাকে। উদ্দীপকে উল্লিখিত রচনার লেখকের মতে, খেলাধুলায় আনন্দ লাভের পরিবর্তে অর্থ লাভের বিষয়টি মুখ্য হয়ে উঠলে সেই খেলা জুয়াখেলায় রূপান্তরিত হয়। একইভাবে অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে সাহিত্য রচনা করতে গেলে তার স্বাভাবিক ধর্ম বিনষ্ট হয়।। আলোচ্য প্রবন্ধে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, সাহিত্য রচনার সময় কোনো কিছু পাওয়ার আশা না করতে। বরং লেখার উৎকর্ষ বৃদ্ধির প্রতি নবীন লেখকদের যতœবান হওয়া উচিত। লেখা ভালো হলে অর্থ, খ্যাতি আপনা থেকেই আসে। কিন্তু লেখার সময় অর্থের কথা ভাবলে লোকের মন রক্ষার কথা মাথায় চলে আসে। ক্রীড়া যেমন স্বতঃস্ফূর্ত তেমনি লেখকের লেখাও সকল প্রভাব ও হওয়া চাই। তবেই লেখা হয়ে উঠবে সৌন্দর্য প্রকাশে সক্ষম এবং মানুষের জন্য কল্যাণকর। অন্যদিকে, অর্থের প্রভাবে যেমন সাধারণ খেলা জুয়াখেলায় পরিণত হয়, তেমনি সাহিত্যও হয়ে উঠতে পারে মানুষের জন্য হানিকর। এ কারণেই দেখাও স্বতঃস্ফূর্ত ও মানবকল্যাণের আদর্শের অনুগামী হওয়া বাঞ্ছনীয়। আলোচনা থেকে দেখা যায় সামান্য অমিল থাকলেও অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষার দিক থেকে কোনো কোনো ক্রীড়া ও সাহিত্যের মাঝে তাৎপর্যপূর্ণ মিল বিদ্যমান। অর্থাৎ প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথাযথ বলেই আমি মনে করি।
২. প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময় বিশ্বব্যাপী মূল্যবোধের অবক্ষয়, অর্থনৈতিক বিপর্যয়, হতাশা ও হাহাকারে উপমহাদেশের জীবন ছিল নানা অভিঘাতে বিপর্যস্ত ও রূপান্তরিত। এমনই এক পরিবেশে কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬) তার ব্যক্তিজীবনের অভিজ্ঞতায় বিনির্মাণ করলেন শাশ্বত কল্যাণ ও সাম্যবাদের মহাকাব্যিক এক আশাবাদী জগৎ। তিনি কলম তুলে নিলেন শোষণ-বঞ্চনাহীন, শ্রেণিবৈষম্যহীন, ক্ষুধা-দারিদ্মুক্ত, অসাম্প্রদায়িক এক জগৎ সৃষ্টি করতে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি সাম্যের গান গাইলেন। এক সময় তিনি হয়ে উঠলেন ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি-গোত্র নির্বিশেষে সকল সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের কলমসৈনিক। শোষণ, বঞ্চনা ও সকল প্রকার বৈষম্যের বিরুদ্ধে তার বিদ্রোহ আজও আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে বারংবার ।
ক. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে সাহিত্যের উদ্দেশ্য কী?
খ. অন্য উদ্দেশ্যে লেখনী-ধারণ মহাপাপ- বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন?
গ. উদ্দীপকের কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্য সাধনা “বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন” প্রবন্ধের কোন বৈশিষ্ট্যটির প্রতিফলন ঘটায় ব্যাখ্যা কর।
ঘ. বাংলার নতুন লেখকদের প্রতি বঙ্কিমচন্দ্রের নিবেদন উদ্দীপকে যথেষ্ট ধরা হয়েছে কি? উদ্দীপক ও প্রবন্ধের আলোকে তোমার মতামত দাও ।
৩. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে ‘অতসীমামী’ নামে গল্প লেখেন। গল্পটি পত্রিকায় প্রকাশের পর এত আলোড়ন তৈরি করে যে, এরপর তিনি লেখালেখিতেই নিজেকে নিয়োজিত করে ফেলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে মনের আনন্দে লিখে গেছেন তিনি। ফলে তাঁর সাহিত্যিক খ্যাতি ছিল সর্বজনবিদিত।
ক. আমাদের দেশের সাধারণ পাঠকের কী বিবেচনায় লোকরঞ্জন করতে গেলে রচনা বিকৃত ও অনিষ্টকর হয়ে পড়ে?
খ. ‘টাকার জন্য লিখিবেন না’- বঙ্কিমচন্দ্র এ পরামর্শ কেন দিয়েছেন?
গ. উদ্দীপকে ‘‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’’ রচনার কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘লেখা ভালো হইলে যশ আপনি আসিবে’ কথাটি উদ্দীপকের মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে কতটুকু সঠিক? তোমার মতামত দাও।
৪. খেতের পরে যেত চলেছে, খেতের নাহি শেষ
সবুজ গাওয়ায় দুলছে ও কার এলো মাথার কেশ।
সেই কেশেতে গয়না পরায় প্রজাপতির ঝাঁক,
চজুতে তাল ছিটায় সেথা কালো কালো কাক।
সাদা সাদা বক-কনেরা রচে সেথায় মালা,
শরৎকালের শিশির সেথা জ্বালায় মানিক আলা
তারি মায়ায় থোকা থোকা দোলে ধানের ছড়া,
মার আঁচলের পরশ থোকা যেন সকল অভাব-হরা।
সেই ফসলে আসমানিদের নেইকো অধিকার,
জীর্ণ পাঁজর বুকের হাড়ে জ্বলছে হাহাকার।
ক. কোন ধরনের প্রবন্ধ কখনো হিতকর হতে পারে না?
খ. সুতরাং তাহা একেবারে পরিহার্য ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের প্রথম আট চরণে ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনায় উল্লিখিত সাহিত্য রচনার কোন উদ্দেশ্য ফুটে উঠেছে।
ঘ. ‘উদ্দীপকে সাহিত্য সৃজনের প্রকৃত উদ্দেশ্যসমূহের পরিপূর্ণ প্রকাশ ঘটেছে’ প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।
৫.পয়লা বৈশাখের ক্রোড়পত্রে ছাপানোর জন্য প্রকাশকের জরুরি তাগাদায় একটি প্রবন্ধ লেখে আশিক। কিন্তু লেখাটি নিজের মনঃপূত না হওয়ায় পরে একসময় ছাপাতে চায় সে। আশিকের এমন মনোভাবের কথা জানতে পেরে প্রকাশক বলেন, পয়লা বৈশাখের সংখ্যায় লেখা ছাপালে বহু লোক তাকে চিনবে। তাছাড়া টাকাও বেশি পাওয়া যাবে। তাঁর কথায় আশিক লেখাটি ছাপাতে রাজি হয়।
ক. কোথায় এখন অনেকে টাকার জন্য লেখে এবং লেখাও ভালো হয়?
খ. বঙ্কিমচন্দ্র লেখাকে কিছুকাল ফেলে রাখতে বলেছেন কেন?
গ. আশিকের প্রথম সিদ্ধান্তটি ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার কোন প্রসঙ্গকে ইঙ্গিত করে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. আশিকের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি তার লেখকসত্তা বিকাশে কেমন প্রভাব ফেলবে বলে তুমি মনে করো? বিশ্লেষণী মতামত দাও।
৬. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর লেখনীর মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের চেষ্টা করেছেন। তিনি বিভিন্ন গল্প ও উপন্যাসের মাধ্যমে সমাজের কুসংস্কার ও সামন্তবাদী সমাজব্যবস্থার নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরেছেন। ফলে তাঁর লেখা ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। লেখনীর মধ্য দিয়েই তিনি হয়ে ওঠেন অপরাজেয় কথাশিল্পী।
ক. লেখকের মতে, সভ্য ও ধর্ম ব্যতীত অন্য উদ্দেশ্যে লেখনী ধারণ কী?
খ. সাহিত্য রচনার প্রকৃত উদ্দেশ্য কী? ব্যাখ্যা করো।
গ.উদ্দীপকে ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’রচনার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ.উদ্দীপকে বাংলা সাহিত্যের উন্নতিতে ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার লেখকের প্রত্যাশার প্রতিফল ঘটেছে কি? তোমার মতামত দাও।
৭.স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকা সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্যে ফুলপুর এলাকার মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানানোর জন্য শাপলা একটি প্রবন্ধ লিখে পত্রিকায় ছাপানোর উদ্যোগ নেয়। প্রথমেই সে সমস্ত তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে। এবং প্রয়োজনমতো প্রবন্ধে সংযুক্ত করে লেখার পর কয়েকজন বন্ধুকে লেখাটি পড়তে দেয় এবং তারপরও কয়েকদিন সময় নিয়ে নানা ত্রæটি সংশোধন করে।।
ক. কোন ধরনের সাহিত্য লেখকের পক্ষে অবনতিকর?
খ. ‘যে কথার প্রমাণ দিতে পারিবে না, তাহা লিখিও না’- ব্যাখ্যা করো।
গ. লেখা ছাপানোর উদ্যোগ গ্রহণের প্রথম ধাপে শাপলা কোন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে? ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’প্রবন্ধ অনুসারে ব্যাখ্যা করো।
ঘ. শাপলা রচনা লেখার ক্ষেত্রে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পরামর্শ যথাযথভাবে মেনে চলেছে কি? তোমার মতামত বিশ্লেষণ করো।
৮. হুমায়ূন আহমেদ বাংলা সাহিত্যের একজন কালজয়ী লেখক। আবেগ ও হাস্যরসের অসামান্য ব্যবহার তাঁর রচনাগুলোকে পাঠকসমাজে সমাদৃত করেছে। তাঁর লেখার অন্যতম দিক হলো সরলতা। সহজ ভাষায় জীবনের অন্তর্নিহিত দর্শনের এমন সাবলীল প্রকাশ খুব বেশি লেখকের মাঝে সচরাচর দেখা যায় না। এই গুণের কারণেই তাঁর লেখা পড়ে এ দেশের বহু মানুষ বইমুখী হওয়ার প্রেরণা পেয়েছে।
ক. বঙ্কিমচন্দ্রের মতে, কে শ্রেষ্ঠ লেখক?
খ. বঙ্কিমচন্দ্র ‘সরলতাকে সকল অলংকারের শ্রেষ্ঠ’অলংকার বলেছেন কেন?
গ. ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’রচনার লেখকের কোন বিষয়ক পরামর্শ উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. হুমায়ূন আহমেদ একজন সার্থক লেখক’ প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটির যথার্থতা বিশ্লেষণ করো।
৯. লেখক হওয়া সাধনা ও নিষ্ঠার ব্যাপার। বিখ্যাত লেখক স্টিফেন কিং লেখালেখি বিষয়ে দিয়েছেন বেশ কিছু উপদেশ-
১. অন্যকে সন্তুষ্ট করার জন্য নয়, বরং নিজের দায়িত্ববোধ থেকে দেখো। সত্য বলতে হবে, তা যত তিব্বই হোক। নিজের বিবেক ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগাও।
২. কোনো কিছু লেখার পর সেটি পুনরায় দেখো। নিজের লেখার প্রথম পাঠক হবে নিজেই। সমালোচকের দৃষ্টি দিয়ে নিজের লেখা ব্যবচ্ছেদ করো। আর এটা করতে হবে নির্দয়ভাবে।
৩. পান্ডিত্যের ভান করবে না। অযথা গুরুগম্ভীর শব্দ ও জটিল বাক্য ব্যবহার করে অন্যকে চমকিত করার চেষ্টা কোনো কাজের বিষয় নয়। অকারণে ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে বলার অভ্যাস পরিহার করো।
৪.অন্য কোনো লেখককে হুবহু অনুকরণ করে লিখবে না। নিজের স্টাইল তৈরি করো। নিজের ধ্যানধারণা থেকে নিজের মতো করে লেখো, স্বকীয়তা নিয়ে।
ক. ‘যে বিষয়ে যাহার অধিকার নেই, সে বিষয়ে তাহার হস্তক্ষেপ অকর্তব্য’- এ নিয়মটি কোন সাহিত্যে রক্ষিত হয় না?
খ. ‘বিদ্যা প্রকাশের চেষ্টা করিবেন না’- বুঝিয়ে লেখো।
গ. উদ্দীপকের ১ নম্বর উপদেশ ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার আলোকে ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের পরামর্শ লেখক ও পাঠক উভয়কেই উপকৃত করবে - প্রবন্ধের আলোকে উদ্ভিটি বিশ্লেষণ করো।
১০. কবিতায় আমরা অনেক কিছু বলতে পারি। কখনো বলতে পারি ঘর-ফাটানো হাসির কথা। বলতে পারি টগবণে রাগের কথা। বলতে পারি চমৎকার ভালো কথা। কখনো বাজাতে পারি নাচের শব্দ। আবার কখনো আঁকতে পারি রঙিন ছবি। কিন্তু সবসময়ই মনে রাখতে হবে, ওই কথা নতুন হতে হবে। যা একবার কেউ বলে গেছে, যে-ছবি একবার কেউ এঁকে গেছে, তা বলা যাবে না, সে ছবি আঁকা যাবে না। শিক্ষা থেকে কবিতা।
ক. ‘যশ’ শব্দের অর্থ কী?
খ. ‘সাময়িক সাহিত্য লেখকের পক্ষে অবনতিকর’ ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের পরামর্শ ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার কোন দিকটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘স্বভাষার সাহিত্যোন্নয়নে উদ্দীপকের লেখক এবং ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার লেখকের মতামত সমদর্শী’উক্তিটির যথার্থতা বিচার করো।
শিক্ষার্থীরা, উপরে HSC ( একাদশ-দ্বাদশ ) শ্রেণির বাংলা মূল বই থেকে বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর আলোচনা করা হয়েছে। একই সাথে পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য আরও অতিরিক্ত ৫ টি প্রশ্ন অর্থ্যাৎ সর্বমোট ১০ টি প্রশ্ন ও উওর দেওয়া হয়েছে। সবগুলো সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর পিডিএফ আকারে সংগ্রহের জন্য নিচের ‘ANSWER SHEET’ বাটনে ক্লিক করো।