HSC বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন MCQ | PDF Download

 বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টপাধ্যায়

পাঠ পরিচিতি

সংক্ষেপে পাঠ পরিচিতি: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ঊনিশ শতকীয় বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক হিসেবে পরিচিত। “বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন রচনাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ‘প্রচার’ পত্রিকায়, ১৮৮৫ সালে; পরে এটি তার ‘বিবিধ প্রবন্ধ’ নামক গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়। সাধু রীতিতে লেখা এই প্রবন্ধটি আকারে ছােট হলেও চিন্তার মৌলিকত্বে অসাধারণ। বক্তব্যের তাৎপর্য বিচার করলে প্রবন্ধটির রয়েছে সর্বকালীন বৈশ্বিক আবেদন। নতুন লেখকদের প্রতি তিনি যে পরামর্শ এখানে উপস্থাপন করেছেন তার প্রতিটি বক্তব্যই পালনযোগ্য। খ্যাতি বা অর্থের উদ্দেশ্যে লেখা নয়; লিখতে হবে মানুষের কল্যাণ সাধন কিংবা সৌন্দর্য সৃষ্টির অভিপ্রায়ে। বঙ্কিমচন্দ্রের মতে, অসত্য, নীতি-নৈতিকতা বিরোধী কিংবা পরনিন্দার উদ্দেশ্য প্রণোদিত বা স্বার্থতাড়িত লেখা পরিহার করা বাঞ্ছনীয়। তিনি বলতে চান, নতুন লেখকরা কিছু লিখে তাৎক্ষণিকভাবে না ছাপিয়ে কিছুদিন অপেক্ষা করে পুনরায় পাঠ করলে লেখাটি সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে। যার যে বিষয়ে অধিকার নেই সে বিষয়ে লেখার চেষ্টা করা যেমন অনুচিত তেমনি লেখায় বিদ্যা জাহির করার প্রবণতাকেও তিনি নিন্দনীয় বলে মনে করেছেন। অনুকরণবৃত্তিকেও দূষণীয় বলেছেন। অনাবশ্যকভাবে লেখার সৌষ্ঠব বৃদ্ধি বা পরিহাস করার চেষ্টাও তার কাছে কাম্য নয়। সারল্যকেই তিনি সকল অলংকারের মধ্যে শ্রেষ্ঠ অলংকার বলে মনে করেছেন। সর্বোপরি বস্তুনিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। এভাবে এই ছোট লেখাটিতে তিনি লেখকের আদর্শ কী হওয়া উচিত তা অত্যাবশ্যকীয় শব্দ প্রয়োগে উপস্থাপন করেছেন। নবীন লেখকরা বঙ্কিমচন্দ্রের পরামর্শ মান্য করলে লেখক ও পাঠক সমাজ। নিশ্চিতভাবে উপকৃত হবেন; আমাদের মননশীল ও সৃজনশীল জগৎ সমৃদ্ধ থেকে সমৃদ্ধতর হবে। 

HSC বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন MCQ | PDF Download
বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন-EduZoneBD

কবি পরিচিতি

জন্ম

পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলায়, কাঠাঁলপাড়া গ্রামে ১৮৩৮ সালের ২৬ জুন জন্মগ্রহণ করেন।

ছদ্মনাম

কমলাকান্ত

উপাধি

সাহিত্য সম্রাট

শিক্ষাজীবন

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকত্তর।

কর্মজীবন

ম্যাজিস্ট্রেট

উল্লেখযোগ্য


লেখাসমূহ

প্রথম উপন্যাস:RajmohonÕs Wife

প্রথমকাব্য গ্রন্থ: ললিতা তথা মানস


জনক: সার্থক বাংলা উপন্যাসের


প্রবন্ধ: কৃষ্ণচরিত্র (১৮৮৬), লোকরহস্য (১৮৭৪), কমলাকান্তের দপ্তর (১৮৭৫), সাম্য (১৮৭৯), বিজ্ঞান রহস্য (১৮৭৫), বিবিধ প্রবন্ধ ১৮৯২।


উপন্যাস: রাজসিংহ (১৮৮২, ঐতিহাসিক), সীতারাম (সর্বশেষ), কপালকুন্ডলা (১৮৬৬ রোমান্টিক), আনন্দমঠ ১৮৮২, কৃষ্ণকান্তের উইল (১৮৭৮), চন্দ্রশেখর (১৮৭৫), ইন্দিরা (১৮৭৩), মৃণালিনী (১৮৬৯, তিহাসিক), বিষবৃক্ষ (১৮৭৩), দেবী চৌধুরাণী (১৮৮৪), রজনী (১৮৭৭), দুর্গেশনন্দিনী- ১৮৬৫ প্রথম সার্থক উপন্যাস।


কাব্যগ্রন্থ: ললিতা তথা মানস (১৮৫৬, প্রথম কাব্যগ্রন্থ)


পত্রিকা: বঙ্গদর্শন (১৮৭২)

মৃত্যু

১৮৯৪ সালের ৮ এপ্রিল।

শব্দের ব্যাখ্যা

ব্র্যাকেটে শব্দের ব্যাখ্যা:
১. যশের (খ্যাতির উদ্দেশ্যে) জন্য লিখিবেন না। তাহা হইলে যশও হইবে না, লেখাও ভাল হইবে না। (প্রাপ্তির আশায় প্রথমেই লেখা যাবে না) লেখা ভালো হইলে যশ আপনি আসিবে।


২. টাকার জন্য লিখিবেন না। ইউরোপে এখন অনেক লোক টাকার জন্যই লেখে এবং টাকাও পায়; লেখাও ভালো হয়। কিন্তু আমাদের এখনও সেদিন হয় নাই (আমাদের লেখার মান এখনো ইউরোপের মতো হয়নি)। এখন অর্থের উদ্দেশ্যে লিখিতে গেলে, লোক-রঞ্জন- প্রবৃত্তি প্রবল হইয়া পড়ে। এখন আমাদিগের দেশের সাধারণ পাঠকের রুচি ও শিক্ষা বিবেচনা করিয়া লোক-রঞ্জন করিতে গেলে রচনা বিকৃত ও অনিষ্টকর হইয়া উঠে। (আমাদের পাঠকরা ভালো-মন্দ যাচাই করতে পারে না)


৩.যদি মনে এমন বুঝিতে পারেন যে, লিখিয়া দেশের বা মনুষ্যজাতির কিছু মঙ্গল সাধন করিতে পারেন, অথবা সৌন্দর্য সৃষ্টি করিতে পারেন, তবে অবশ্য লিখিবেন (লেখার প্রকৃত উদ্দেশ্য অপরের কল্যাণ)। যাঁহারা অন্য উদ্দেশ্যে লেখেন, তাঁহাদিগকে যাত্রাওয়ালা (মানুষের মঙ্গল ছাড়া অন্য কিছু) প্রভৃতি নীচ ব্যবসায়ীদিগের সঙ্গে গণ্য করা যাইতে পারে।


৪.যাহা অসত্য, ধর্মবিরুদ্ধ; পরনিন্দা বা পরপীড়ন বা স্বার্থসাধন যাহার উদ্দেশ্য, সে সকল প্রবন্ধ কখনও হিতকর হইতে পারে না, সুতরাং তাহা একেবারে পরিহার্য্য। সত্য ও ধর্মই সাহিত্যের উদ্দেশ্য (নৈতিক ও ধর্মীয় আলোচনা)। অন্য উদ্দেশ্যে লেখনী-ধারণ মহাপাপ।


৫.যাহা লিখিবেন, তাহা হঠাৎ ছাপাইবেন না। কিছু কাল ফেলিয়া রাখিবেন। কিছুকাল পরে উহা সংশোধন করিবেন। তাহা হইলে দেখিবেন, প্রবন্ধে অনেক দোষ আছে। কাব্য নাটক উপন্যাস দুই এক বৎসর ফেলিয়া রাখিয়া তার পর সংশোধন করিলে বিশেষ উৎকর্ষ (লেখনির পরিপক্কতা) লাভ করে। যাঁহারা সাময়িক সাহিত্যের (উদ্দেশ্যহীন সাহিত্য) কার্যে ব্রতী, তাঁহাদের পক্ষে এই নিয়ম রক্ষাটি ঘটিয়া উঠে না। এজন্য সাময়িক সাহিত্য, লেখকের পক্ষে অবনতিকর।


৬.যে বিষয়ে যাহার অধিকার (জ্ঞান) নাই, সে বিষয়ে তাহার হস্তক্ষেপ অকর্তব্য। এটি সোজা কথা, কিন্তু সাময়িক সাহিত্যে এ নিয়মটি রক্ষিত হয় না। (অজ্ঞাত বিষয়ে মানুষ জ্ঞান প্রদান করে)


৭.বিদ্যা প্রকাশের চেষ্টা করিবেন না। বিদ্যা থাকিলে, তাহা আপনিই প্রকাশ পায়, চেষ্টা করিতে হয় না। বিদ্যা প্রকাশের চেষ্টা পাঠকের অতিশয় বিরক্তিকর এবং রচনার পারিপাট্যের বিশেষ হানিজনক। এখনকার প্রবন্ধে ইংরেজি, সংস্কৃত, ফরাসি, জার্মান কোটেশন বড় বেশি দেখিতে পাই। যে ভাষা আপনি জানেন না, পরের গ্রন্থের সাহায্যে সে ভাষা হইতে কদাচ (কখনোই) উদ্ধৃত করিবেন না।


৮.অলঙ্কার-প্রয়োগ বা রসিকতার জন্য চেষ্টিত হইবেন না। স্থানে স্থানে অলঙ্কার বা ব্যঙ্গের প্রয়োজন হয় বটে; লেখকের ভান্ডারে এ সামগ্রী থাকিলে, প্রয়োজন মতে আপনিই আসিয়া পৌঁছিবে-ভান্ডারে না থাকিলে মাথা কুটিলেও আসিবে না। অসময়ে বা শূন্য ভান্ডারে অলঙ্কার প্রয়োগের বা রসিকতার চেষ্টার মত কদর্য্য আর কিছুই নাই।


৯.যে স্থানে অলঙ্কার বা ব্যঙ্গ বড় সুন্দর বলিয়া বোধ হইবে, সেই স্থানটি কাটিয়া দিবে, এটি প্রাচীন বিধি (কাউকে ব্যঙ্গ করে না লেখা)। আমি সে কথা বলি না। কিন্তু আমার পরামর্শ এই যে সে স্থানটি বন্ধুবর্গকে পুনঃ পুনঃ পড়িয়া শুনাইবে। যদি ভালো না হইয়া থাকে, তবে দুই চারি বার পড়িলে লেখকের নিজেরই আর উহা ভালো লাগিবে না-বন্ধুবর্গের নিকট পড়িতে লজ্জা করিবে। তখন উহা কাটিয়া দিবে।


১০. সকল অলঙ্কারের শ্রেষ্ঠ অলঙ্কার সরলতা। যিনি সোজা কথায় আপনার মনের ভাব সহজেই পাঠককে বুঝাইতে পারেন, তিনিই শ্রেষ্ঠ লেখক। কেননা, লেখার উদ্দেশ্য পাঠককে বুঝান।


১১.কাহারও অনুকরণ করিও না। অনুকরণে দোষগুলি অনুকৃত হয়, গুণগুলি হয় না, অমুক ইংরেজি বা সংস্কৃত বা বাঙ্গালা লেখক এইরূপ লিখিয়াছেন, আমিও এরূপ লিখিব, এ কথা কদাপি মনে স্থান দিও না।


১২.যে কথার প্রমাণ দিতে পারিবে না, তাহা লিখিও না। প্রমাণগুলি প্রযুক্ত করা সকল সময়ে প্রয়োজন হয় না, কিন্তু হাতে থাকা চাই। বাঙ্গালা সাহিত্য, বাঙ্গালার ভরসা। এই নিয়মগুলো বাঙ্গালা লেখকদিগের দ্বারা রক্ষিত হইলে, বাঙ্গালা সাহিত্যের উন্নতি বেগে হইতে থাকিবে। (দ্রæত উন্নতি হবে)


বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর (PDF)

শব্দার্থ ও টিকা


প্রবল         - খুব বা বেশি।


রুচি    - পছন্দ, অনুরাগ, মার্জিত আচার-আচরণ।


বিকৃত      - অস্বাভাবিক, বিকট, বীভৎস।


অনিষ্টকর - ক্ষতিকর।


মনুষ্য     - মানুষ।


মঙ্গল        - কল্যাণ।


সৃষ্টি                   - তৈরি, সৃজন।


পরপীড়ন - অন্যকে অত্যাচার বা পীড়ন।


হিতকর   - কল্যাণকর, উপকারী।


সংশোধন - বিশুদ্ধকরণ, ত্রুটিমুক্তকরণ।


দোষ                  - ত্রæটি।


উল্কর্ষ                  - উন্নতি।


কার্যে                   - কাজে।


ব্রতী                    - ব্রত বা প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করেছে এমন।


অবনতিকর           - যাতে অবনতি হয় এমন।


হস্তক্ষেপ - হাত দেওয়া, নিয়ন্ত্রণ করা।


অকর্তব্য - কর্তব্যবহির্ভূত, করা উচিত নয় এমন।


বিদ্যা                  - অধ্যয়নজনিত জ্ঞান।


অতিশয়   - অত্যন্ত।


পরিপাট্য - সুবিন্যস্ত।


হানিজনক             - ক্ষতিকর।


কদাচ                  - কখনো।


উদ্ধৃত                 - আহরণকৃত, উত্থাপিত, উত্তোলিত।


শ্রেষ্ঠ                   - উৎকৃষ্ট, উত্তম।


পাঠক                  - পাঠ করে যে, অধ্যয়নকারী।


অনুকরণ - নকল।


অনুকৃত   - অনুকরণ করা হয়েছে এমন।


প্রযুক্ত                  - নিযুক্ত, প্রয়ােগ করা হয়েছে এমন।


রক্ষিত                -  রাখা হয়েছে এমন, আমানতকৃত।


উন্নতি                  - উৎকর্ষ।



HSC বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন MCQ | PDF Download
HSC বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন MCQ | PDF Download

বানান সতর্কতা

যশ, রঞ্জন, বিকৃত, অনিষ্টকর, সৃষ্টি, যাত্রাওয়ালা, গণ্য, পরনিন্দা, পরপীড়ন, স্বার্থসাধন, পরিহার্য, সংশোধন, দোষ, উৎকর্ষ, কার্যে, ব্রতী, রক্ষা, হস্তক্ষেপ, অকর্তব্য, অতিশয়, বিরক্তিকর, পরিপাট্য, সংস্কৃত, কোটেশন, অলঙ্কার, ব্যঙ্গ, ভান্ডার, শ্রেষ্ঠ, অনুকরণ, প্রযুক্ত।


প্রবন্ধের চৌম্বক তথ্য

  • বাংলা ভাষায় প্রথম শিল্পসম্মত উপন্যাস ‘দুর্গেশনন্দিনী’ রচনা করেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
  • বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্যতম কীর্তি ‘বঙ্গদর্শন’ (১৮৭২) পত্রিকা সম্পাদনা ও প্রকাশ।
  • বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত গ্রন্থ সংখ্যা ৩৪টি।
  •  বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ‘সাহিত্যসম্রাট’ উপাধিতে ভূষিত হন।
  • ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনাটি। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খন্ড)’ থেকে সংকলিত।
  • ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনায় লেখক বাংলা সাহিত্যের উন্নতির জন্য নতুন লেখকদের প্রতি কিছু। নিবেদন জানিয়েছেন।
  •  লেখক যশের জন্য লিখতে নিষেধ করেছেন। কারণ তাতে লেখা ভালো হয় না।
  • অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে লিখলে লোকরঞ্জন-প্রবৃত্তি প্রবল হয়ে ওঠে।
  • তিনি মনে করেন লিখতে হবে দেশ ও মানবজাতির মঙ্গলের জন্য।
  •  বঙ্কিমচন্দ্রের মতে সৌন্দর্য সৃষ্টি করতে পারলে লেখা অবশ্যই উচিত।
  •  যারা ব্যক্তিস্বার্থ বা নিজ স্বার্থ সিদ্ধির জন্য সাহিত্য রচনা করে তাদের নীচ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে।
  • সত্য, অধর্ম, পরপীড়াদায়ক তা লেখা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  •   লিখেই তা হঠাৎ ছাপানো উচিত নয়। কিছুদিন রেখে দিয়ে পুনরায় সংশোধন করলে লেখার উল্কর্ষতা বৃদ্ধি পায়।
  •   সাহিত্যের মধ্যে বিদ্যা বা বুদ্ধি প্রকাশের চেষ্টা করলে সেই সাহিত্য পাঠকের কাছে বিরক্তির কারণ হবে।
  • অন্যান্য ভাষার কোটেশন সাহিত্যে যত কম দেওয়া যায়। ততই ভালো।
  •  জোর করে অলঙ্কার প্রয়োগ করা অনুচিত। এতে রচনা সৌন্দর্যের বদলে আরও কদর্য হয়ে উঠবে।
  •  সাহিত্যের ভাষা হওয়া উচিত সহজ-সরল।
  • যা প্রমাণ দেওয়া যাবে না তা না লেখাই উত্তম।

পাঠ্যবই বিশ্লেষিত প্রশ্নের উওর

১. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?


উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনার কাঁঠালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।


২.বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কত সালে বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন?


উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৫৮ সালে বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন


৩. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কোন পেশায় ছিলেন?


উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পেশাগত জীবনে ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন।


৪. লোকরহস্য ও কৃষ্ণচরিত্র বঙ্কিমচন্দ্রের কোন ধরনের?


উত্তর: লোকরহস্য ও কৃষ্ণচরিত্র বঙ্কিমচন্দ্রের গদ্যগ্রন্থ।


৫.বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য বঙ্কিমচন্দ্র কোন উপাধিতে ভূষিত হন?


উত্তর: বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য বঙ্কিমচন্দ্রকে ‘সাহিত্যসম্রাট’ উপাধিতে ভূষিত হন।


৬. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?


উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৯৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন


৭. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কোথায় মৃত্যুবরণ করেন?


উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।


৮.      ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ প্রবন্ধটি কোন গ্রন্থের অন্তর্গত?


উত্তর: ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ প্রবন্ধটি ‘বিবিধ প্রবন্ধ’ গ্রন্থের অন্তর্গত ও


৯.       বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কিসের জন্য লিখতে নিষেধ করেছেন?


উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় যশের জন্য লিখতে নিষেধ করেছেন।


১০.     কোন জায়গার অনেক লোক টাকার জন্য লেখে?


উত্তর: ইউরোপের অনেক লোক টাকার জন্য লেখে।


১১.     আমাদের এখনও কোন দিন হয়নি?


উত্তর: আমাদের এখনও টাকার জন্য লেখার দিন হয়নি।


১২.     অর্থের জন্য লিখতে গেলে কী প্রবল হয়ে পড়ে?


উত্তর: অর্থের জন্য লিখতে গেলে লোক-রঞ্জন-প্রবৃত্তি প্রবল হয়ে পড়ে।


১৩.     যারা অন্য উদ্দেশ্যে লেখেন, তাদের কিসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?


উত্তর: যারা অন্য উদ্দেশ্যে লেখেন, তাদের যাত্রাওয়ালা প্রভৃতি নীচ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।


১৪.     সাহিত্যের উদ্দেশ্য কী?


উত্তর: সত্য ও ধর্মই সাহিত্যের উদ্দেশ্য।


১৫.     কোন উদ্দেশ্যে লেখনী ধারণ মহাপাপা?


উত্তর: মানবকল্যাণ ছাড়া অন্য উদ্দেশ্যে লেখনী ধারণ মহাপাপ।


১৬.     ‘যাহা লিখিবেন, তাহা হঠাৎ ছাপাইবেন না।’ বঙ্কিমচন্দ্র এই কথা কাদের বলেছেন?


উত্তর: ‘যাহা লিখিবেন, তাহা হঠাৎ ছাপাইবেন না।’ এই কথা নতুন লেখকদের বলেছেন।


১৭.     প্রাবন্ধিক কাব্য, নাটক, উপন্যাস কত বছর ফেলে রাখার কথা বলেছেন?


উত্তর: প্রাবন্ধিক কাব্য, নাটক, উপন্যাস দু-এক বছর ফেলে কদর্য রাখার কথা বলেছেন।


১৮.     যারা সাময়িক সাহিত্যে ব্রতী, তাদের পক্ষে কোন নিয়মটি রক্ষা করা হয় না?


উত্তর: যারা সাময়িক সাহিত্যে ব্রতী, তাদের পক্ষে নতুন লেখা ফেলে রেখে সংশোধন করার নিয়মটি রক্ষা করা হয় না।


১৯.     যে বিষয়ে যার অধিকার নেই, সেই বিষয়ে তার কোনটি অকর্তব্য?


উত্তর: যে বিষয়ে যার অধিকার নেই, সেই বিষয়ে তার হস্তক্ষেপ অকর্তব্য।


২০.     বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কোনটি প্রকাশের চেষ্টা করতে নিষেধ করেছেন?


উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বিদ্যা প্রকাশের চেষ্টা করতে নিষেধ করেছেন।


২১.     কোনটি আপনিই প্রকাশ পায়?


উত্তর: বিদ্যা আপনিই প্রকাশ পায়।


২২.     বিদ্যা প্রকাশের চেষ্টা কাদের জন্য অতিশয় বিরক্তিকর?


উত্তর: বিদ্যা প্রকাশের চেষ্টা পাঠকের জন্য অতিশয় বিরক্তিকর।


২৩.     প্রাবন্ধিক এখনকার প্রবন্ধে কী বেশি দেখতে পান?


উত্তর: প্রাবন্ধিক এখনকার প্রবন্যে ইংরেজি, সংস্কৃত, ফরাসি, জার্মান কোটেশন বেশি দেখতে পান।


২৪.     লেখায় স্থানে স্থানে কিসের প্রয়োজন হয়?


উত্তর: লেখায় স্থানে স্থানে অলঙ্কার বা ব্যঙ্গের প্রয়োজন হয়।


২৫.     লেখকের ভান্ডারে কী থাকলে প্রয়োজন মতো এসে


উত্তর: লেখকের ভান্ডারে অলঙ্কার বা ব্যঙ্গ থাকলে লেখায় প্রয়োজন মতো এসে পৌঁছাবে।


২৬.     কিসে অলঙ্কার প্রয়োগের বা রসিকতার চেষ্টার মতো কদর্য আর কিছুই নেই?


উত্তর: শূন্য ভান্ডারে অলঙ্কার প্রয়োগের বা রসিকতার চেষ্টার মতো কদর্য আর কিছুই নেই।


২৭.     প্রাবন্ধিক কোন স্থানটি পুনঃপুন বন্ধুদের পড়ে শোনাতে বলেছেন?


উত্তর: প্রাবন্ধিক অলঙ্কার ও ব্যঙ্গ প্রয়োগের স্থানটি পুনঃপুন বন্ধুদের পড়ে শোনাতে বলেছেন।


২৮.     প্রাবন্ধিক কাকে শ্রেষ্ঠ লেখক বলেছেন?


উত্তর: যিনি সোজা কথায় মনের ভাব সহজে পাঠককে বোঝাতে পারেন প্রাবন্ধিকের মতে তিনিই শ্রেষ্ঠ লেখক।


২৯.     কিসে দোষগুলো অনুকৃত হয়, গুণগুলো হয় না?


উত্তর: অনুকরণে দোষগুলো অনুকৃত হয়, গুণগুলো হয় না।


৩০.     প্রাবন্ধিক কী লিখতে নিষেধ করেছেন?


উত্তর: যে কথার প্রমাণ দেওয়া যাবে না, প্রাবন্ধিক তা লিখতে নিষেধ করেছেন।


৩১.     লেখায় কোনটি যুক্ত করা সবসময় প্রয়োজন হয় না?


উত্তর: লেখায় প্রমাণ যুক্ত করা সবসময় প্রযয়োজন হয় না।

বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

 ১.     লেখকদের 'লোকরঞ্জন-প্রবৃত্তি' প্রবল হয়ে ওঠে কী কারণে?

ক. পাঠকের রুচি বিবেচনায় আনলে

● অর্থলাভের আশায় লিখলে

গ. সৌন্দর্য সৃষ্টির উদ্দেশ্য থাকলে

ঘ. বিদ্যা প্রকাশের প্রচেষ্টা থাকলে


২.       বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় 'লেখা' বিলম্বে ছাপাতে বলেছেন কেন?

ক. উপযুক্ত প্রমাণ সংযোজনের সুবিধার্থে

খ. পাঠকের মনে চাহিদার উদ্রেক করতে

● লেখার ভুল-ত্রুটি সংশোধন করতে

ঘ. মনুষ্যজাতির মঙ্গল সাধন করতে


উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

'আপনারে যে ভেঙেচুরে গড়তে চায় পরের ছাঁচে,অলীক, ফাঁকি, মেকি সে জন, নামটা তার কদিন বাঁচে।'

৩.       কবিতাংশের ভাব 'বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন' প্রবন্ধের লেখকের যে নিবেদনের সাথে সাদৃশস্যপূর্ণ তা হলো-

র. পরানুকরণে নিরুৎসাহিতা

রর. অন্য লেখকদের অনুকৃতি

ররর. স্বকীয়তায় সচেষ্ট থাকা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. র ও রর                           ● র ও ররর

গ. রর ও ররর                                     ঘ. র, রর ও ররর


৪.       উক্ত নিবেদন রক্ষিত হলে নিচের কোনটি ঘটত বলে প্রাবন্ধিক মনে করেন?

ক. লেখক স্বাতন্ত্রিক বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল হতেন

● বাংলা সাহিত্যের ভাÐার সমৃদ্ধ হতো

গ. অলংকার প্রয়োগ যথার্থ হতো

ঘ. রচনার পারিপাট্য বজায় থাকত


৫.         ১৮৩৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৬শে জুন কোন সাহিত্যিকের জন্ম তারিখ?

● বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়         খ. সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

গ. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়    ঘ. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়


৬.       বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?

ক. হুগলি                            খ. বর্ধমান

গ. মেদিনীপুর                                  ● চব্বিশ পরগনা


৭.         বঙ্কিমচন্দ্ৰ চট্টোপাধ্যায় পেশাগত জীবনে কী ছিলেন?

ক. অধ্যাপক                                    খ. ব্যবসায়ী

গ. প্রকৌশলী                                   ● ম্যাজিস্ট্রেট


৮.         বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কী হিসেবে খ্যাতি ছিল?

ক. জনদরদি শাসক                ● যোগ্য বিচারক

গ. ডেপুটি কালেক্টর                ঘ. পরোপকারী জমিদার


৯.         বঙ্কিমচন্দ্রের গ্রন্থ সংখ্যা কতটি?

ক. ৩২    ● ৩৪    গ. ৫৪    ঘ. ৬৪


১০.     বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় চাকরিসূত্রে কোথায় ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করে নীলকরদের অত্যাচার দমন করেছিলেন?

ক. যশোরে                          খ. বরিশালে

গ. ঢাকায়                           ● খুলনায়


১১.     বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কোন পত্রিকায় কবিতা প্রকাশের মাধ্যমে সাহিত্যচর্চা শুরু করেন?

ক. বঙ্গদর্শন                                     খ. বেঙ্গল গেজেট

গ.সাধনা                            ● সম্বাদ প্রভাকর


১২.       বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কর্তৃক প্রকাশিত পত্রিকার নাম কী?

ক. সম্বাদ প্রভাকর                  ● বঙ্গদর্শন

গ. দিগদর্শন                                    ঘ. সমাচার দর্পণ


১৩.       'বঙ্গদর্শন' পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশিত হয় কত খ্রিষ্টাব্দে?

ক. ১৮৭০    খ. ১৮৭১    ● ১৮৭২    ঘ. ১৮৭৩


১৪.     কত খ্রিষ্টাব্দে 'সম্বাদ প্রভাকর' পত্রিকায় বঙ্কিমচন্দ্রের প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়?

ক. ১৮৭৩    খ. ১৮৫০    গ. ১৮৫১    ● ১৮৫২


১৫.       বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত প্রথম উপন্যাস কোনটি?

ক. কপালকুÐলা                    খ. কৃষ্ণকান্তের উইল

গ. মৃণালিনী                                     ● দুর্গেশনন্দিনী


১৬.       'রাজসিংহ' উপন্যাসের লেখক কে?

ক. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়         

খ. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

● বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়        

ঘ. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়


১৮.       বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপাধি কী?

ক. কবিকঙ্কন                                   ● সাহিত্যসম্রাট

গ. ভোরের পাখি                   ঘ. সান্ধ্য কবি


১৯.       বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কবে মৃত্যুবরণ করেন?

ক. ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দের ৮ই এপ্রিল

খ. ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দের ৮ই এপ্রিল

গ. ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দের ৮ই এপ্রিল

● ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দের ৮ই এপ্রিল


২০.     'বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন' রচনার শুরুতে লেখক কীসের জন্য লিখতে নিষেধ করেছেন?

ক. অর্থ    ● যশ    গ. ধর্ম    ঘ. সৌন্দয



প্রশ্ন গুলোর উত্তর ও গল্পের বাকি MCQ পড়তে ফাইলটি ডাউনলোড করুন.


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url