HSC অপরিচিতা গল্পের MCQ ২০২৫ | PDF Download

●এইচএসসি● বাংলা প্রথম পত্র ●
 অপরিচিতা—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

এই পোস্টে আমরা আলোচনা করবো অপরিচিতা গল্পের বিস্তারিত। পোস্টে থাকবে কবি পরিচিতি, পাঠ পরিচিতি, গুরুত্বপূর্ণ লাইন, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, MCQ প্রশ্ন ও উত্তর।

মূল গল্প

বোর্ড বই থেকে নেওয়াঃ অপরিচিতা গল্পের বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর : আজ আমার বয়স সাতাশ মাত্র। এ জীবনটা না দৈর্ঘ্যের হিসাবে বড়, না গুণের হিসাবে। তবু ইহার একটু বিশেষ মূল্য আছে। ইহা সেই ফুলের মতো যাহার বুকের উপরে ভ্রমর আসিয়া বসিয়াছিল, এবং সেই পদক্ষেপের ইতিহাস তাহার জীবনের মাঝখানে ফলের মতো গুটি ধরিয়া উঠিয়াছে। সেই ইতিহাসটুকু আকারে ছোটো, তাহাকে ছোটো করিয়াই লিখিব। ছোটোকে যাঁহারা সামান্য বলিয়া ভুল করেন না তাঁহারা ইহার রস বুঝিবেন।কলেজে যতগুলো পরীক্ষা পাস করিবার সব আমি চুকাইয়াছি। ছেলেবেলায় আমার সুন্দর চেহারা লইয়া পণ্ডিতমশায় আমাকে শিমুল ফুল ও মাকাল ফলের সহিত তুলনা করিয়া, বিদ্রুপ করিবার সুযোগ পাইয়াছিলেন । ইহাতে তখন বড়ো লজ্জা পাইতাম; কিন্তু বয়স হইয়া এ কথা ভাবিয়াছি, যদি জন্মান্তর থাকে তবে আমার মুখে সুরূপ এবং পণ্ডিতমশায়দের মুখে বিদ্রূপ আবার যেন অমনি করিয়াই প্ৰকাশ পায় ৷ (বাকি আংশ বই থেকে পড়ে নিবেন.........)



রবীন্দ্রনাথের যা কিছু প্রথম

  • প্রথম মনস্তাত্তিক উপন্যাস- চোখের বালি
  • প্রথম প্রকাশিত কবিতা: হিন্দু মেলার উপহার
  • প্রথম প্রকাশিত গল্প: ভিখারিণী
  • প্রথম প্রকাশিত কাব্য: বনফুল
  • প্রথম প্রকাশিত নাটক: বাল্মীকি প্রতিভা
  • প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধগ্রন্থ: বিবিধ প্রসঙ্গ
  • প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস: বৌ ঠাকুরানীর হাট               
  • প্রথম প্রকাশিত পত্রিকা: সাধনা

রবীন্দ্রনাথের রচনাসমূহ মনে রাখার উপায়

  • কাব্যগ্রন্থ : রুদ্র তার প্রিয় বান্ধবী চিত্রা ও মানসীর কথা কল্পনা করে ক্ষনিকার জন্মদিনে চৈতালীর সঙ্গে নিয়ে সোনার তরীতে করে পুনশ্চ বলাকায় এসে শেষ লেখা নামক চমৎকার মুভিটি দেখল।
  • উপন্যাস : রুদ্র চতুরঙ্গ ঘোড়ায় (গোরা) চড়ে ঘরে বাহিরে গিয়ে মালঞ্চের সামনে তার চোখের বালিকে হত্যা করে চার অধ্যায়ের শেষের কবিতা রচনা করল। বৌ ঠাকুরাণীর হাট থেকে এই রচনা কিনতে গিয়ে যোগাযোগের পথে করুণা নামের সুন্দর রমণী মারা গেল।
  • নাটক : রক্তকরবীর রাজা ডাকঘরের চিত্রাঙ্গদার নিকট নয়নে চিরকুমার সভা বিসর্জনের নির্দেশ দিল।
  • প্রবন্ধ : স্বদেশের আধুনিক সাহিত্যের পাশাপাশি প্রাচীণ ও লোক সাহিত্য বিচিত্র প্রবন্ধে সমৃদ্ধ করেছে। ফলে কালান্তরে সভ্যতার সংকট থেকে পঞ্চভূতও দূর হবে।
  •  চিত্রনাট্য : শ্যামা মালিনী চিত্রনাট্য তৈরির জন্য চিত্রাঙ্গদা এবং চন্ডালিকাকে বেছে নিল।
  • ভ্রমণ কাহিনী : জাপানের যাত্রীরা রাশিয়ার চিঠি পড়ে ইউরোপ সম্পর্কে জানতে পারল।

লেখক সম্পর্কে অতিরিক্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য

  •     জন্ম  মৃত্যু স্থান-কলকাতার জোড়াসাঁকুর পরিবারে ও ঠাকুর বাড়িতে
  •     রবীন্দ্রনাথ মাতা পিতার চতুর্দশ সন্তান ও অষ্টম পুত্র
  •     তিনি কবিতা রচনা করতে আরম্ভ করেন-আট বছর বয়সে
  •    তার প্রথম কবিতার নাম ছিল-হিন্দুমেলার উৎসব
  •     রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের নাম-কবিকাহিনী (প্রকাশকাল ১৮৭৮)
  •    রবীন্দ্রনাথের প্রথম প্রকাশিত নাটকের নাম-বাল্মীকি প্রতিভা (প্রকাশকাল-১৮৮১) বরীন্দ্রনাথের রুন্দ্রচন্দ্র নাটক নয় । এতে সামান্য নাটকীয়তা আছে মাত্র । রুদ্রচন্দ্র প্রকাশিত হয় ১৮৮১ সালে
  •    বাংলা সাহিত্যের প্রথম স্বার্থক ছোটগল্প রচয়িতা এবং বাংলা ছোটগল্পের শ্রেষ্ঠ শিল্পী
  •  ১২৮৪ বঙ্গাব্দে মাত্র ষোল বছল বয়সে ‘ভিখারিনী’ গল্প রচনার মাধ্যমে ছোটগল্প হিসাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
  •  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত সর্বশেষ গল্পটির নাম-মুসলমানীর গল্প
  •  কুষ্টিয়ার শিলাইদহে বসবাসের কালই রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্প রচনা স্বর্ণযুগ।
  •  রবীন্দ্রনাথকে বলা হয় বাংলা ছোটগল্পের জনক
  •  প্রথম জীবনে রবীন্দ্রনাথের সর্বাপেক্ষা উলে­খযোগ্য কবিতা ‘নির্ঝরের স্বপ্ন ভঙ্গ
  •   কবি শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম নামে একটি আবাসিক বিদ্যালয় স্থাপন করেন।
  •  গীতাঞ্জলির অনুবাদ Song offerings  নামে প্রকাশিত হয়-১৯১২ সালে
  •   Song offerings  এর ভূমিকা লেখেন ইংরেজী কবি  WB Yeats

  •  বরীন্দ্রনাথ এ কাব্যের জন্য নোবেল পুরস্কার পান-১৯১৩ সালের নভেম্বর মাসে
  •   শান্তিনিকেতন থেকে রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরস্কার চুরি হয়ে যায় ২৪ মার্চ ২০০৪ দিবাগত রাতে
  •   ব্রিটিশ সরকার তাকে নাইটহুড বা স্যার উপাধি প্রদান করেন ১৯১৫ সালের ১৩ রা জুন
  •   তিনি পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে স্যার উপাধি বর্জন করেন।
  •   রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুর পর প্রকাশিত শেষ কাব্যগ্রন্থ-শেষলেখা (১৯৪১)
  •   ভ্রাতৃস্পুত্রী ইন্দিরা দেবীকে লেখা চিঠির সমাহার- ছিন্নপত্র (প্রকাশ ১৯১২)
  •   শ্রেষ্ঠ কাব্যসংকলন-সঞ্চয়িতা

‘অপরিচিতা’ গল্পের উৎস পরিচিতি

‘অপরিচিতা’ প্রথম প্রকাশিত হয় প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত মাসিক ‘সবুজপত্র’ পত্রিকার (১৩২১) বঙ্গাব্দের (১৯১৪) কার্তিক সংখ্যায়। এটি প্রথম গ্রন্থভূক্ত হয় রবীন্দ্রনাথ গল্পের সংকলন ‘গল্পসপ্তক’ এ এবং পরে, ‘গল্পগুচ্ছ’ তৃতীয় খন্ডে (১৯২৭)
মর্মবাণী/মূলবাণী/উপজীব্য বিষয়: যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ

সারমর্ম

‘অপরিচিতা’ গল্পে অপরিচিতা বিশেষণের আড়ালে যে ব্যক্তিত্বের অধিকারী নারীর কাহিনী বর্ণিত হয়েছে, তার নাম কল্যাণী। অমানবিক যৌতুক প্রথার নির্মম বলি হয়েছে এমন নারীদের গল্প ইতঃপূর্বে রচনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু এই গল্পেই প্রথম যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রতিরোধের কথকতা শোনালেন তিনি। এ গল্পে পিতা শম্ভুনাথ সেন এবং কন্যা কল্যাণীর স্বতন্ত্র বীক্ষা ও আচরণে সমাজে গেড়ে-বসা ঘৃণ্য যৌতুকপ্রথা প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছে। পিতার বলিষ্ঠ প্রতিরোধ এবং কন্যা কল্যাণীর দেশচেতনায় ঋদ্ধ ব্যক্তিত্বের জাগরণ ও তার অভিব্যক্তিতে গল্পটি স্বার্থক।

‘অপরিচিতা’ উত্তম পুরুষের জবানিতে লেখা গল্প। গল্পের অনুপম ব্যক্তিত্বরহিত, পরিবারতন্ত্রের কাছে অসহায় পুতুলমাত্র। তাকে দেখলে আজো মনে হয়, সে যেন মায়ের কোলসংলগ্নে শিশুমাত্র। তারই বিয়ে উপলক্ষে যৌতুক নিয়ে নারীর চরম অবমাননাকালে শম্ভুনাথ সেনের কন্যা-সম্প্রদানে অসম্মতি গল্পটির শীর্ষ মুহূর্তে। অনুপম নিজের গল্প বলতে গিয়ে ব্যাঙ্গার্থে জানিয়ে দিয়েছে সেই অঘটন সংঘটনের কথাটি। বিয়ের লগ্ন যখন প্রস্তুত তখন কন্যার লগ্নভ্রষ্ট হওয়ার লৌকিকতাকে অগ্রাহ্য করে শম্ভুনাথ সেনের নির্বিকার অথচ বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের জাগরণের মধ্য দিয়ে গল্পের শেষাংশে কল্যাণীর শুচিশুভ্র আত্মপ্রকাশ ও ভবিষ্যতের নতুন নারীর আগমনীর ইঙ্গিতে পরিসমাপ্তি।

অপরিচিতা মনস্ত্বাপে ভেঙেপড়া এত ব্যক্তিত্বহীন যুবকের স্বীকারোক্তির গল্প, তার পাপসঙ্খলনের অকপট কথামালা। অনুপমে আত্মবিবৃতির সূত্র ধরেই গল্পের নারী কল্যাণী অসামান্য হয়ে উঠেছে। গল্পটিতে পুরুষতন্ত্রের অমানবিকতার স্ফূরণ যেমন ঘটেছে, তেমনি একই সঙ্গে পুরুষের ভাষ্যে নারীর প্রশস্তিরও কীর্তির হয়েছে।

চরিত্রসমূহ

অনুপম, মামা, কল্যাণী, বিনুদাদা, মা, হরিশ, শম্ভুনাথ, উকিল বন্ধু, সেকরা, রেলওয়ে কর্মচারী, কল্যাণীর ছোট ছোট বোন, বরযাত্রী।

গল্পে যেসব উপকরণের উল্লেখ রয়েছে

  • ফুলÑ  শিমুল, বকুল, রজনীগন্ধা
  • ফলÑ  মাকাল
  • দেবীর নামÑ অন্নপূর্ণা, প্রজাপতি, পঞ্চশর, সবস্বতী
  • মাদকদ্রব্যÑতামাক
  • জীবজন্তুÑহস্তী, সাপ, ভ্রমর, রাজহংস
  • রং- কালো, লাল, সবুজ
  • নদী-  ফল্গু
  • ঋতুÑ   বসন্ত
  • যানবাহনÑ রেলগাড়ি
  • স্থানÑ বাংলাদেশ, কানপুর, কলকাতা, আন্ডামান দ্বীপ, হাবড়ার পুল, কেন্নাগর
  • আরও উল্লেখ আছেÑ  মরুভূমি, মরীচিকা, আদম-শুমারি, ঝর্ণা, ব্যান্ড, বাঁশি, শখের কন্সার্ট।

গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

১. ‘এ জীবনটা না দৈর্ঘ্যরে হিসাবে বড়, না গুণের হিসাবে’ বলতে বোঝানো হয়েছে - আত্মসমালোচনা।
২. ‘অপরিচিতা’ গল্পটি বর্ণিত হয়েছে-উত্তম পুরুষের জবানিতে।
৩. নিজের নিস্ফল জীবনকে বোঝাতে অনুপম ব্যবহার করেছে --ফলের মতো গুটি’ উপমাটি।।
৪. পন্ডিতমশায় বিদ্রুপ করার জন্য অনুপমের চেহারার তুলনা করতেন-শিমুল ফুল ও মাকাল ফলের সাথে।
৫. ‘মাকাল ফল’ অর্থ-দুর্গন্ধ ও শাঁসযুক্ত খাওয়ার অনুপযোগী ফল।
৬. অনুপমের পিতা প্রচুর টাকা রোজগার করেছিল-ওকালতি করে
৭. অনুপমের পিতা চাকরি থেকে প্রথম অবকাশ নেন-মৃত্যুর সময়
৮. অনুপম মানুষ হয়েছে-মার হাতে।
৯. অন্নপূর্ণা হচ্ছে-দেবী দুর্গা।
১০. গজানন হচ্ছে গণেশ-(গজ অর্থাৎ হাতির মত আনন যার)।
১১. দেবী দূর্গার ছেলে -২ জন (বড় পুত্র গণেশ ছোট পুত্র কার্তিক)।
১২. অনুপমের আসল অভিভাবক-তার মামা।
১৩. অনুপমের মামা অনুপমের চেয়ে বয়সে-৬ বছরের বড়।
১৪. ফল্গু হচ্ছে - ভারতের গয়া অঞ্চলে অবস্থিত একটি নদীর নাম।
১৫. ফল্গু নদীর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে-ওপরের অংশে বালির আস্তরণ কিন্তু ভেতরে জলস্রোত প্রবাহিত হয়।
১৬. যে নারী নিজেই স্বামী নির্বাচন করে তাকে বলে - স্বয়ংবরা।
১৭. অনুপমের মামার অস্থিমজ্জায় জড়িত ছিল - টাকার প্রতি আসক্তি।
১৮. পৃথিবীতে অনুপমের ভাগ্যদেবতার প্রধান এজেন্ট ছিল -তারা মামা।
১৯. অনুপমের বন্ধুর নাম - হরিশ (মানুষ হিসেবে রসিক ছিল)।
২০. হরিশ কাজ করত - কানপুরে।
২১. অনুপমের হৃদয়ের গোপন কথা প্রকাশ পেয়েছে - তরুমর্মরে।
২২. হরিশনের কথা শুনে অনুপমের শরীর মনÑবসন্ত বাতাসে বকুল বনের নব পল­বরাশির মতো কাঁপিতে কাঁপিতে আলোছায়া বনিতে লাগিল।
২৩. ‘অপরিচিতা’ গল্পে বকুলবনের নবপল­বরাশি’ দ্বারা বোঝানো হয়েছে-অনুপমের মনের অবস্থা।
২৪. শম্ভুনাথ বাবু পেশায় একজন -ডাক্তার।
২৫. শম্ভুনাথ বাবুর বন্ধু পেশায় ছিলেন-উকিল।
২৬. শম্ভুনাথ বাবু পশ্চিমে গিয়া বাস করিতেছেন -বংশ মর্যাদা রক্ষার্থে।
২৭. ‘অপরিচিতা’ গল্পে ‘পশ্চিমে’ বলতে বোঝানো হয়েছে- ভারতের পশ্চিম অঞ্চলকে।
২৮. লক্ষ্ণীর ঘটটি একেবারে উপুড় করিয়া দিতে দ্বিধা হইবে না কোথাও শম্ভুনাথের কারণ-কল্যাণী তার একমাত্র মেয়ে (অনুপমের মামার চিন্তা এটা)।
২৯. বিয়ের ভূমিকা অংশটা সমাধা হইয়া গেল - নির্বিঘ্নে
৩০. অনুপমের মামার মতে কলিকাতার বাহিরে পৃথিবীটা  অন্তর্ভুক্ত আছে -আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের।
৩১. আন্দামান দ্বীপ -ভারতীয় সীমানাভুক্ত বঙ্গোপসাগরের অংশ বিশেষ।
৩২. স্বদেশী আন্দোলনের যুগে রাজবন্দিদের নির্বাসন শাস্তি দিয়ে পাঠানো হতো - আন্দামান দ্বীপে।
৩৩. কল্যাণীকে আর্শীবাদ করার জন্য পাঠানো হয়েছিল - অনুপমের পিসতুতো ভাই বিনুদাদাকে।
৩৪. অনুপম ষোল আনা নির্ভর করে - বিনুদাদার রুচি ও দক্ষতার উপর।
৩৫. বিনুদাদার ভাষা - অত্যন্ত আঁট।
৩৬. যেখানে সবাই বলে ‘চমৎকার’ বিনুদাদা সেখানে বলেন- চলনসই।
৩৭. মেয়ের সম্পর্ক বিনু দাদার কথা শুনে অনুপম তার ভাগ্যে প্রজাপতির সঙ্গে মিল খুঁজে পেয়েছ - পঞ্চশরের।
৩৮. হিন্দু পুরাণ অনুসারে প্রজাপতি হচ্ছে-বিয়ের দেবতা(ব্রহ্মা)।
৩৯. পঞ্চশর হচ্ছে - মদনদেবের ব্যবহার্য পাঁচ ধরণের বাণ।
৪০. বিবাহ উপলক্ষে কলকাতায় আসিতে হইল - কন্যাপক্ষকে
৪১. ‘বোঝা শক্ত, কেননা তিনি বড়ই চুপচাপ’ বলা হয়েছে- শম্ভুনাথ বাবুর প্রসঙ্গে।
৪২. ‘লোকটা নিতান্ত নির্জীব, একেবারে কোন তেজ নাই’ শম্ভুনাথ বাবু সম্পর্কে একথা ভেবেছিলেন-অনুপমের মামা।
৪৩. অনুপমের মামা মনে মনে খুশি হইলেন কারণ-বেহাইয়ের কোন তেজ নাই।

গল্পের গুরুত্বপূর্ণ কিছু লাইন

  •   হরিশের কাছে শুনিয়াছি, মেয়েটিকে আমার ফটোগ্রাফ দেখানো হইয়াছিল।
  •   কলিকাতার বাহিরে বাকি যে পৃথিবীটা আছে সমস্তটাকেই মামা আন্দামান দ্বীপের অন্তর্গত বলিয়া জানেন।
  •   আজ আমার বয়স সাতাশ মাত্র।
  •  মার হাতেই আমি মানুষ।
  •  কন্যার পিতা মাত্রেই স্বীকার করিবেন, আমি সৎপাত্র।
  •   আমার বন্ধু হরিশ কানপুরে কাজ করে।
  •   মেয়ের চেয়ে মেয়ের বাপের খবরটাই তাঁহার কাছে গুরুতর।
  •   এক কালে ইহাদের বংশে লক্ষ্ণীর  মঙ্গলঘট ভরা ছিল।
  •  দেশে বংশ মর্যাদা রাখিয়া চলা সহজ নয় বলিয়া ইনি পশ্চিমে গিয়া বাস করিতেছেন।
  •   মেয়ের বয়স যে পনেরো, তাই শুনিয়া মামার মন ভার হইল।
  •   বিনুদা ফিরিয়া আসিয়া বলিলেন, “মন্দ নয় হে! খাঁটি সোনা বটে।”
  •   আমার ভাগ্যে প্রজাপতির সঙ্গে পঞ্চশরের কোনো বিরোধ নাই।
  •   বিবাহ-উপলক্ষে কন্যাপক্ষকেই কলিকাতায় আসিতে হইল।
  •   “বাবাজি, একবার এই দিকে আসতে হচ্ছে।”
  •   স্যাকরা কহিল, “ইহা বিলাতি মাল, ইহাতে সোনার ভাগ সামান্যই আছে।”
  •   ঠাট্টার সম্পর্কটাকে স্থায়ী করিবার ইচ্ছা আমার নাই।”
  •   চিরকাল গলার স্বর আমার কাছে বড়ো সত্য।
  •  তাহার একটিমাত্র ধুয়া-“গাড়িতে জায়গা আছে।”
  •  “না, আমরা গাড়ি ছাড়িব না।”
  •  সে বলিল, “মাতৃ-আজ্ঞা।”
  •  কেবল সেই এক রাত্রির অজানা কন্ঠের মধুর সুরের আসা-যাওয়া আছে।

গল্পের বহুনির্বচনী প্রশ্ন ও  উত্তর

১.‘অপরিচিতা’ গল্পে কার আচরণে যৌতুক প্রথা প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছে?
ক.অনুপমের খ.কল্যাণীর পিতার গ.অনুপমের মামার  ঘ .কল্যাণীর
২.নিচের কোনটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের কল্যাণী চরিত্রের ক্ষেত্রে সাযুজ্যপূর্ণ?
ক.ভীতু খ.পরমুখাপেক্ষী গ.সংকীর্ণতা ঘ.বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব
৩.‘সবুজপত্র’ মাসিক পত্রের সম্পাদক কে ছিলেন?
ক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর    খ.প্রমথ চৌধুরী গ দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ঘ অক্ষয়কুমার দত্ত
৪.‘ফল্গু’ নদী কোথায় অবস্থিত?
ক.ভারত খ. বাংলাদেশ গ. মালদ্বীপ ঘ.মায়ানমার 
৫.বকুল বনের নবপল­বরাশির সাথে কার তুলনা করেছেন?
ক কল্যাণীর খ.অনুপমের গ.পাত্রী দর্শনের অভিজ্ঞতার ঘ. নিরুপমার
৬.মামার টাকার প্রতি আসক্তিকে অনুপম কার সঙ্গে তুলনা করেছেন?
ক. অস্থি-মজ্জা খ. হাড়-হাড্ডি গ. চোখ-কান ঘ. গলা-নাক
৭.বাংলা ছোটগল্পের জনক বলা হয় কাকে?
ক. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় খ. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় গ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর    ঘ. কাজী নজরুল ইসলাম
৮.দৈর্ঘ্যে বা হিসাবে কোন জীবনটা বড় নয়?
ক.বাল্য জীবন খ.যুবক জীবন গ.পঁচিশ বছর বয়সের জীবন ঘ.সাতাশ বছর বয়সের জীবন
৯.‘অপরিচিতা’ গল্পে ফুলের বুকের উপরে কী এসে বসেছিল?
ক. মৌমাছি খ. বোলতা গ. হামিংবার্ড ঘ. ভ্রমর
১০. ‘সেই ইতিহাসটুকু আকারে ছোট।’ এ চিত্রকল্পে ফুটে ওঠা নিচের কোন যুক্তিটি সমর্থনযোগ্য?
ক অনুপমের বিবাহের দিন খ.অনুপমের সাতাশ বছরের জীবন গ. অনুপমের কৈশোর ঘ. অনুপমের যুবক বয়স

প্রশ্ন গুলোর উত্তর ও গল্পের বাকি MCQ পড়তে ফাইলটি ডাউনলোড করুন.

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

Next Post Previous Post
2 Comments
  • মোছা: মিম খাতুন
    মোছা: মিম খাতুন ১২ মার্চ, ২০২৫ এ ৪:৪৪ PM

    খুবই সুন্দর! অনেক গোছানো শীট মতো। ধন্যবাদ।

    • Admin
      Admin ১২ মার্চ, ২০২৫ এ ৪:৪৫ PM

      ধন্যবাদ

Add Comment
comment url